গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে টানা ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এখনো অসংখ্যা বাড়িঘর কোমর পানিতে তলিয়ে আছে। বন্যার পানি ধীরগতিতে নেমে যাওয়ায় প্রায় এক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি এখনো তলিয়ে আছে। ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমায় অবস্থান করায় বন্যার কবলে দুই ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
অন্যদিকে, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও দূর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের। প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি আছে। বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে এখনো হাঁটুপানি থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব পরিবার। জ্বালানি সঙ্কটে রান্না করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্যাদুর্গতরা। ভেসে গেছে সহস্রাধিক পুকুর ও মৎস খামারের কোটি টাকার মাছউ
বানভাসিদের অভিযোগ, ঘাঘটের অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে দীর্ঘদিন পানিবন্দি থাকলেও সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা পায়নি বানভাসিরা। এমনকি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও তাদের খোঁজ খবরও নেয়নি কেউ।
জানা গেছে, তিস্তার পর ফুলেফেঁপে ওঠা ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধিতে বন্যার কবলে পড়ে দুই ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষ। টানা ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। প্রায় ১৫০০ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। নষ্ট হয়েছে ১০০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজাই মাহমুদ বলেন, বন্যার পানি ধীরগতিতে নামতে থাকায় এখনো সহস্রাধিক একর জমির ফসল পানির নিচে। বন্যার পানি দ্রুত নেমে না গেলে রোপা আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। আমরা কৃষকদের সরেজমিন খোঁজ নিয়ে বন্যা পরবর্তী ফসল রক্ষায় পরামর্শ দিচ্ছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, এখন বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। আমরা শুরু থেকে দুই ইউনিয়নের বন্যার্তদের জন্য ২০ টন জিআরের চাল বিতরণ করেছি। আরো ১১ টন চাল বিতরণে তালিকা তৈরি হচ্ছে।